খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’: ক্ষমা চাইলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫৯ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
|
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে (১৭ এপ্রিল, রবিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতুল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তখনই সোচ্চার হয়ে ওঠেন উপস্থিত অতিথিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদের প্রবল আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটি প্রত্যাহার করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে। ১৭ এপ্রিলের বক্তব্য নিয়ে সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক রহমত উল্লাহ। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারের কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমার বক্তব্যের একপর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি আমি আমার ব্যাক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি।’ লিখিত বক্তব্যের শেষাংশে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্যও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রহমত উল্লাহ বলেন, মুজিবনগর সরকার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আমি স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত আট মাসে ওই সরকারের অবদান নিয়ে কথা বলেছি। সেখানে খন্দকার মোশতাকসহ মুজিবনগর সরকারে যারা ছিল তাদের নাম নিয়েছি। কিন্তু কাউকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা জানাইনি। তিনি আরো বলেন, ‘ওই বক্তব্যে খন্দকার মোশতাকের প্রতি বরং আমি ঘৃণা জানিয়েছি। যারা বলছে আমি শ্রদ্ধা জানিয়েছি, তারা কেন এমনটি বলছেন আমি জানি না। তবে যেহেতু একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ লিখিত বক্তব্যের শেষাংশে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্যও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রহমত উল্লাহ বলেন, মুজিবনগর সরকার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আমি স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত আট মাসে ওই সরকারের অবদান নিয়ে কথা বলেছি। সেখানে খন্দকার মোশতাকসহ মুজিবনগর সরকারে যারা ছিল তাদের নাম নিয়েছি। কিন্তু কাউকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা জানাইনি। তিনি আরো বলেন, ‘ওই বক্তব্যে খন্দকার মোশতাকের প্রতি বরং আমি ঘৃণা জানিয়েছি। যারা বলছে আমি শ্রদ্ধা জানিয়েছি, তারা কেন এমনটি বলছেন আমি জানি না। তবে যেহেতু একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ এ সময় তিনি জানান, পারিবারিক ও ব্যক্তিগতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। অধ্যাপক রহমত উল্লাহ জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নীল দল থেকে প্রথমবারের মতো লেকচারার ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন। তখন থেকে অদ্যাবধি নীল দল থেকে মনোনীত হয়ে সিনেট, সিন্ডিকেট, ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। এ ছাড়াও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তিনি সোচ্চার ছিলেন বলেও দাবি করেন। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও শিক্ষকনেতা মো. রহমত উল্লাহ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার সভা সঞ্চালনা করেন। |
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭