চুরি দেখে ফেলায় খুন করা হয় ভিকটিমকে
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২, ০৭:১৭ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
|
উত্তরার একটি বাসায় শামসুদ্দিন আহম্মেদ নামে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ভিকটিমের স্ত্রীর ভাতিজা ও তার বন্ধুরা বাসায় বেড়াতে আসে। বাসা ফাকা পেয়ে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করার সময় ভিকটিম দেখে ফেলায় তাকে খুন করা হয়। টাকা পয়সার লোভেই ওই বাসায় আসে তারা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. মুসলিম ও আবু সাফি। রোববার (১০ এপ্রিল) গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকাসহ উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি সাটার গান, ৪ রাউন্ড গুলি, লুন্ঠিত এক ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১৫ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নং সেক্টরের ১২ নং রোডের একটি বাসায় শামসুদ্দিন আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি হত্যাকান্ডের শিকার হন। এ ঘটনার পরের দিন ভিকটিমের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ঘটনা বিবরণ দিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনার দিন ভিকটিম শামসুদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রীর আপন ভাতিজা তানভির কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তাদের বাসায় বেড়াতে আসে। ভিকটিমের স্ত্রী রাশিদা বেগম তাদের জন্য খাবার রান্না করে বাইরে গেলে তানভির ও সাথে আসা মুসলিম, আবু সাফি টাকা ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করতে শুরু করে। বাসায় থাকা ৭৪ বছর বয়সী শামসুদ্দিন তাদেরকে বাধা দিলে তারা তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তার সম্পর্কে ডিবি প্রধান বলেন, ঘটনার পরপরই ডিবি উত্তরা জোনাল টিম থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে সিরাজগঞ্জ থেকে মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার করা হয় আবু সাফিকে। আর তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় একটি সাটার গান, চার রাউন্ড গুলি এবং বাসা থেকে লুন্ঠন করা স্বর্ণালংকার ও নগদ চার হাজার টাকা। অপরাধের মোটিভ সম্পর্কে ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার মুসলিম ও সাফি তানভিরের বন্ধু। তারা প্রত্যেকেই বেকার, ঋণগ্রস্থ ও নেশা করে। তারা মূলত অনেক টাকা পয়সার লোভেই ওই বাসায় আসে। আপনজনের সহায়তায় এ ধরণের ঘৃণিত অপরাধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রকম ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। এজন্য আত্মীয়স্বজনের সাথে অপরিচিত কেউ বাসায় আসলে আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। আমাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সন্তানরা কী করে, কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, পিতা-মাতা হিসেবে তার প্রতিটি খোঁজ খবর রাখার আহ্বান জানান তিনি। গ্রেপ্তারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় করা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা। |
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭