রোজা রাখার নানান উপকারিতা
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫৯ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

রমজান পবিত্র হওয়ার মাস এবং আত্মিক উন্নতি সাধনের মাস। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিহিত রয়েছে রোজার নানান উপকারিতা। সে উপকারিতা যেমন রয়েছে শারীরিক তেমনি রয়েছে মানসিক। এ ছাড়া রোজা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী বিধান।

বিভিন্ন প্রকারের রোগ নিরাময়ের জন্যও রোজার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আলেক্স হেইগ বলেন, রোজা শরীরের রক্ত প্রবাহকে পরিশোধন করে থাকে এবং সমগ্র প্রবাহনালীকে নবরূপ দান করে থাকে।

রোজা উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, রোজা রাখার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে, হৃদরোগীদের অস্থিরতা ও স্বাস স্ফীত হ্রাস পেয়েছে। রোজা রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় পাকস্থলির রোগীরা।

রোজা গ্যাস্ট্রিক ও আলসার এবং পাকস্থলির দাহ্যতা এবং এর প্রদাহ তাড়াতাড়ি উপশম করে। পাকস্থলি একটি বৃহদাকার পেশী বিশেষ। শরীরের অন্যান্য পেশীর মতো এরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এক মাস রোজা রাখার ফলে পাকস্থলি ও অন্ত্র বিশ্রাম নেয়ার সময় পায় তখনই তা ক্ষতস্থান বা আলসার নিরাময়ে লেগে যায় এবং পূর্বাবস্থা পুনরুদ্ধারে নিয়োজিত হয়।

অনেকেই মনে করেন, রোজা রাখলে পেটের শুল-বেদনা বৃদ্ধি পায়, তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। কিছু রোজাদারের পেটের রস পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যাদের পাকস্থলিতে এসিড খুব বেশি বা কম রোজা রাখার ফলে তাদের উভয় দোষই সেরে গেছে।

উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুস ক্যান্সার এবং হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য ধূমপান ত্যাগ করা একান্ত পরিহার্য। রোজা ধূমপান থেকে বিরত থাকার একটি ভালো সুযোগ এনে দেয়। এ ছাড়া পূর্ণ এক মাস রোজা রাখার ফলে লিভার, কিডনি ও মূত্রথলি প্রভৃতি অঙ্গসমূহ বিশ্রাম পায়। এতে অঙ্গগুলো বেশ উপকারিতা লাভ করে। কিডনি ও মূত্রথলির নানা উপসর্গ রোজার ফলে নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আলেক্স হেইগ বলেছেন, রোজা হতে মানুষের মানুষিক শক্তি বিশেষ অনুভূতিগুলো উপকৃত হয়। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, মনসংযোগ ও যুক্তিশক্তি বর্ধিত হয়। প্রীতি, ভালোবাসা, সহানুভ‚তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে। ঘ্রাণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি প্রভৃতি বেড়ে যায় এবং খাদ্যের অরুচি দূর হয়।

শারীরিক কতগুলো ব্যাধির উৎস হচ্ছে মানসিক অশান্তি। এ রোগসমূহকে বলা হয় সাইকোসোমেটিক ব্যাধি। রোজা রাখলে এসব ব্যাধির উপসর্গ কম হবার সম্ভাবনা থাকে। জৈবিক চাহিদাকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে রোজার প্রতিক্রিয়া অত্যধিক।


প্রকাশক : মো: মিরাজুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: শফিকুল ইসলাম

© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আজ বাংলা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।

ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com

বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭