ঈদুল আজহা সম্পর্কে ৫ হাদিস
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১, ০৭:১৮ সকাল | অনলাইন সংস্করণ
|
ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব ও ইবাদত। এই দিন আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কোরবানি করা সামর্থ্যবানদের ওপর ওয়াজিব। কেউ যদি কোরবানি না করে, তাকে কঠিন ভাষায় আল্লাহর রাসুল (সা.) কঠিন ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন।
ঈদুল আজহা ও রাসুল (সা.)-এর ঈদুল আজহা কেমন ছিল, তা জানার জন্য ৫টি হাদিস উল্লেখ করা হচ্ছে—
এক. ঈদুল আজহা ইসলামে উৎসব
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসলেন, তখন মদিনাবাসীর দুটি উৎসবের দিবস ছিল। আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এ দুটি দিবস কী? (কী হিসেবে তোমরা এ দুই দিন উৎসব পালন করো?) তারা বলল, জাহেলিয়াত তথা ইসলামপূর্ব যুগে আমরা এই দিন দুটিতে উৎসব পালন করতাম। তখন রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ তোমাদের এ দুটি দিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন- ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিত্র। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৪; সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৫৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১২০০৬)
দুই. ঈদের নির্দেশনা আল্লাহর পক্ষ থেকে
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে ইয়াওমুল আজহার আদেশ করা হয়েছে (অর্থাৎ, এ দিবসে কোরবানি করার আদেশ করা হয়েছে); এ দিবসকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৫৭৫; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৯১৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৩৬৫)
তিন. ঈদুল আজহায় নামাজের পরে খেতেন নবীজি
হাদিস শরিফে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন কোনো কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না। আর ঈদুল আজহার দিন নামাজ না পড়ে কিছু খেতেন না। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৫৪২)
চার. নবীজি (সা.) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন-ফিরতেন
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন এবং পায়ে হেঁটে ঈদগাহ থেকে ফিরতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৯৫)
নবীজী এক পথ দিয়ে যেতেন ভিন্ন পথে ফিরতেন
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) ঈদের দিন এক পথ দিয়ে যেতেন এবং ভিন্ন পথ দিয়ে ফিরতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৮৬)
পাঁচ. ঈদের নামাজের পর কোরবানি
বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে প্রথম কাজ নামাজ আদায় করা, এরপর কোরবানি করা। সুতরাং যে এভাবে করবে তার কাজ আমাদের তরিকা মতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে (তার কাজ তরিকা মতো হয়নি অতএব) তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, (আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত) কোরবানি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৬১; সহিহ ইবনে হিব্বান : ৫৯০৭)
রাজনীতি/এমকে
|
ই-মেইল: ajbanglaonline@gmail.com
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭