পরীমনি; আদালতের প্রতি তিনি অসম্মান দেখিয়েছেন’
নিউজ ডেস্ক:
|
আইনের চোখে সবাই সমান। সবাইকে আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। কিন্তু পরীমনি তা দেখাননি। তিনি সময়মতো আদালতে আসেননি। এটাকে আদালতের প্রতি অসম্মান বলে উল্লেখ করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার শুনানিতে রোববার এ কথা বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এদিন মামলাটিতে আসামিদের হাজিরা ও অভিযোগপত্র জমা নেয়ার তারিখ ছিল। আদালতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা ১টা পার হলেও পরীমনি আদালতে হাজির হননি। তার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার জন্য অপেক্ষা করলেও তিনি সঠিক সময়ে আসেননি। পরে পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি পিছিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে নতুন সময় দেয়। তার আগেই দুপুর পৌনে ২টার কিছু পর পরীমনি আদালতে হাজির হন। ২টা ১২ মিনিটে মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমে পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী পরীমনির জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট এসে গেছে। আমরা এখন তার জামিন প্রার্থনা করছি।’ নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, ‘তিনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অনেকগুলো সিনেমার কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এর আগে তিনি মামলায় জামিন পান। জামিনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। এবারও আমরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করব না।’ রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে আসছি। তখনও আসামি আসেননি। আদালতের প্রতি তিনি অসম্মান দেখিয়েছেন। যখন খুশি তখন আদালতে আসলাম। এটা মামাবাড়ির আবদার না।’ তিনি বলেন, ‘আদালতে আসতে ৫-১০ মিনিট লেট হতে পারে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেট হবে এটা মানা যায় না। এখানে কেউ অসাধারণ বা সাধারণ না। সবাই সমান। এটা সবার মনে রাখতে হবে।’ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করে আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘তার স্থায়ী জামিন হয়নি। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া গেছে। এ ধরনের মামলায় সাধারণত জামিন হয় না। তারপরও মহানগর দায়রা জজ আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’ শুনানি শেষে আদালত পরীমনির জামিন আদেশ দেয়। গত ৪ আগস্ট নায়িকাকে বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরের দিন তার নামে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। সে মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে পরীমনিকে পাঠানো হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। সেখান থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |