শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবেঃ তোফায়েল আহমেদ
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৪৬ রাত | অনলাইন সংস্করণ
সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবেঃ  তোফায়েল আহমেদ

ছবি । সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে রূপ নেবে। তিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী টানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেছেন। ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দের সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমেদের ভোলা শহরের গাজীপুর রোডের বাসভবনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ প্রমূখ। 

মতবিনিময় সভায় তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক. বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই. ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্তা সোনার বাংলা গড়ে তোলা। প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে ইনশাআল্লাহ। 

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের স্লোগান ছিল, "জাগো জাগো বাঙ্গালি জাগো,"। "বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম। আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি। তিনি বলেন, আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসে। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নাই। 

পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এ বছর ভোলা সদর উপজেলায় ২৭টিসহ জেলায় মোট ১১৬টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। 

মতবিনিময় সভা শেষে তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সদর উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে উপহার স্বরূপ প্রদান করা হয়। 

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ