শেখ হাসিনা দেশে ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে কাজ করেছেনঃ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
|
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ইমানদার মুসলমান। তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও তিনি হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মসজিদ উত তাকওয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদুল হক খান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে প্রধানমন্ত্রী মসজিদ পাঠাগার ও ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। উচ্চতর শিক্ষায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। রাসূল (সা.) এর প্রসঙ্গ টেনে ফরিদুল হক খান বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে নবী করিম (সা.) এর আবির্ভাব এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রিয় নবীকে (সা.) এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক। তার মাধ্যমে সুমহান ইসলাম লাভ করেছে পরিপূর্ণতা। আমি বিশ্বাস করি মহানবীর (সা.) ক্ষমা ও উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব দান, অমুসলিম বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক আচরণ, কল্যাণ ভাবনা, শান্তি ও যুদ্ধনীতি, মদিনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের চেতনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা যদি আমাদের কর্ম-পন্থা নির্ধারণ করি, তবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হয়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তি ও কল্যাণময়। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে আছে তা হতে পারে আরো সুসংহত ও সুদৃঢ়। এসময় তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করেন বিশ্ব বিজয়ী হাফেজ জাকারিয়া। সিরাত বিষয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন মসজিদের খতিব মাওলানা ইউসুফ আব্দুল মজিদ, মসজিদ উত তাকওয়া এর খতিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |