লক্ষ্য ছিল দেশকে একটি ট্রফি উপহার দেবোঃ মারিয়া মান্ডা
নিউজ ডেস্ক:
|
সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশকে একটি ট্রফি উপহার দেবো। আমরা সেভাবে পারফর্ম করেছি এবং ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছি। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সাফজয়ী আট ফুটবলকন্যাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এতে সহায়তা করেছেন জেলা প্রশাসন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরেক ফুটবলার সানজিদা বলেন, আজ যারা আমাদের জন্য এত বড় সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। আমরা আগেও অনেক খেলা জিতেছি, চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তবে, এত ভালবাসা পাইনি। এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল। এবার দর্শকদের কাছ থেকে এত ভালবাসা পাব তা ভাবতেও পারিনি। আপনারা এভাবেই আমাদের ভালবাসবেন, আমাদের পাশে থাকবেন, ফুটবলকে ভালবাসবেন। আমরাও আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করবো। বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল হক খোকা, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম, নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকার প্রমুখ। সংবর্ধনায় নারী ফুটবলকন্যাদের ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। এসময় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ তাদের নগদ ২ লাখ টাকা উপহার দেন। এছাড়া নগরীর প্রান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মশিউর রহমান চন্দন নগদ এক লাখ টাকা উপহার দেন। সংবর্ধিতরা হলেন- সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শাছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার, মার্জিয়া আক্তার। তাদের মাঝে ছয়জন নেপালের বিরুদ্ধে সাফের ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের চুরখাই থেকে ছাদখোলা পিকআপে করে শহরে প্রবেশ করেন ফুটবলকন্যারা। শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা সার্কিট হাউজে যান তারা। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ লাইনে ফুটবলকন্যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সংবর্ধনা শেষে নিজ গ্রাম ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন তারা।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |