শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের কথা সবাই ভুলেছে, শুধু ভোলেন না তিনি!
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৭ রাত | অনলাইন সংস্করণ
রোহিঙ্গাদের কথা সবাই ভুলেছে, শুধু ভোলেন না তিনি!

ছবি । সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের দুর্দশার ভিডিও চিত্র দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এ সময় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের বর্ণনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ওই ভিডিও চিত্র দেখে নিজেকে লুকাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বাস্তব পদক্ষেপ এবং প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সমর্থন করাসহ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকার্যের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং মিয়ানমারকে আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐকমত্যের অধীনে তার অঙ্গীকার মেনে চলার জন্য জোর দিয়ে মিয়ানমার যাতে বাধাহীন মানবিক অ্যাক্সেস দিতে সম্মত হয়  সে জন্য প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সংস্থা হিসাবে আসিয়ান এবং পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও লিভারেজ নিয়ে এমন সার্বিক সম্পৃক্ততায় প্রধান ভূমিকা নিতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমান সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সেখানেই রয়েছে। ১৯৬০ সালের পর থেকে মিয়ানমারের ধারাবাহিক সরকারগুলো কর্তৃক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে বর্জন ও নির্বিচার নিপীড়ন অব্যাহত রাখায় তাদের বাংলাদেশে অব্যাহত অনুপ্রবেশের দিকে চালিত করে।

তিনি বলেন, আজ, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) মোট সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন। তিনি তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান আমাদের উন্নয়ন আকাঙ্খার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ