বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে নাঃ ইন্দিরা
নিউজ ডেস্ক:
|
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও আত্মত্যাগকারী ২ লাখ মা-বোনের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ভালো ছিল’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তাদের হৃদয়ে রয়েছে পাকিস্তান। স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধপরাধীরা তাদের দোসর। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিগুলোতে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় মহিলা সংস্থার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বিএনপিকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করছে। তাদের এ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। রাজপথেই তাদের প্রতিহত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘের প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন। এ অঙ্গীকার বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নে নব দিগন্ত সূচনা করবে। সরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে নারীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও আইনি সহায়তা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। এ সময় তিনি নারীর প্রতি নির্যাতন-সহিংসতা প্রতিরোধ, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির সদস্যদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি রয়েছে ২০ হাজার ৩৫৭টি। এ বছর তিনটি ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ৭০৮টি সমিতির মধ্যে ১১ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অনুদান বাবদ ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ঢাকা জেলার সাধারণ অনুদান ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। সমিতির নেতারা প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |