প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন ইমরান খান
নিউজ ডেস্ক:
|
অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ইমরানের বিপক্ষে ১৭৪ ভোট পড়েছে। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ইমরানকে ঠেকাতে প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোট। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিলেন। শনিবার দিনভর দেশটির জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে নানা নাটকীয়তার শেষে রাত ১২টা বাজার কিছুক্ষণ আগে অনাস্থা ভোট দিতে রাজী হন স্পিকার আসাদ কায়সার। তবে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে বিরোধীদল পিএমএলের (এন) নেতা আয়াজ সাদিক প্যানেল সভাপতি হিসেবে স্পিকারের আসনে বসেন। রাত ১২টার পর শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষে তিনি ফলাফল ঘোষণা করেন। আয়াজ সাদিক বলেন, ‘অনাস্থা ভোটের পক্ষে ১৭৪ ভোট পড়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাশ হলো। ’ আয়াজ সাদিক অনাস্থা ভোটের ফল ঘোষণা করার পর পিএমএল (এন) নেতা শাহবাজ শরিফকে ফ্লোর দেন তিনি। শাহবাজ শরিফ বিরোধীদলের সব নেতাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অতীতের তিক্ততার দিকে ফিরে যেতে চাইনা। সামনে এগিয়ে যেতে চাই। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নেব না, অবিচার করব না, বিনা কারণে কাউকে কারাগারে পাঠাবো না। ’ ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগ করেন। কায়সার তখন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্রে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে কায়সার বলেছিলেন, তিনি মন্ত্রিসভা থেকে "গুরুত্বপূর্ণ নথি" পেয়েছেন, যা তিনি বিরোধী দলের নেতা এবং প্রধান বিচারপতিকে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কায়সার সম্ভবত কথিত ‘বিদেশি হুমকি ‘ চিঠির কথা বোঝাচ্ছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাব এড়াতে জোর দিয়ে এর পেছনে ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছিলেন ইমরান। এর আগে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট এড়াতে পিটিআই সরকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালায়।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের হার নিশ্চিত ছিল। কারণ জোটসঙ্গীরা ছেড়ে যাওয়ায় ইমরানের দল পিটিআইয়ের এককভাবে আসন ছিল ১৫৬টি। এ কারণেই নানা কৌশলে অনাস্থা ভোট পেছানোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল ইমরানের দল পিটিআই। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |