পুতিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবেন, বিশ্বাস করেন না জেলেনস্কি
নিউজ ডেস্ক:
|
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে রুশ বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন বলে ‘বিশ্বাস করেন না’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার জার্মানির নিউজ চ্যানেল বিল্ড টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে) পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন; আর আমার এও মনে হয় না যে বিশ্ব তাকে এই ধরনের অস্ত্র তাকে ব্যবহার করার অনুমতি দেবে।’ পশ্চিমা অত্যাধুনিক অস্ত্রের সহায়তায় সম্প্রতি রুশ বাহিনীর দখলে থাকা শহর ইজিউম সম্প্রতি পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনের আরও দু’-তিনটি শহর থেকে রুশ বাহিনীর পিছু হটার সংবাদ পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পুতিন। সেই ভাষণে ইউক্রেইনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ আরও সেনা পাঠানোর জন্য সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের একটি অংশকে ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের ডেকে পাঠানো হলো রাশিয়ায়। বুধবারের ভাষণে পুতিন বলেন, ‘পশ্চিম ইতোমধ্যে দেখিয়েছে—রাশিয়াকে ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য এবং তারা ইউক্রেনের জনগণকে কামানের খাদ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে।’ ‘কিন্তু আমাদের লক্ষ্য শুরু থেকেই পরিষ্কার; আর তা হলো দোনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন করা।’ পশ্চিমা দেশগুলো যদি ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ অব্যাহত রাখে সেক্ষেত্রে রাশিয়া তার বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের সমস্ত শক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলেও হুঁশিয়ারও করেছেন তিনি। পুতিনের এই ভাষণের পরই পশ্চিমা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতে থাকে— ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই প্রদেশ দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি। চলতি আগস্টে ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। এই চার মাস সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে। লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে এই গণভোট ডাকা হয়েছে এসব অঞ্চলে। গণভোটের রায় পক্ষে গেলে প্রায় হাঙ্গেরির সমান আয়তনের মতো ভূখণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ভূখণ্ডভুক্ত করার সুযোগ পাবে মস্কো।
নিউজ সূত্রঃ রয়টার্স নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |