পরীমনির গাড়ি ব্যবহার হতো মাদক বহনের কাজে
নিউজ ডেস্ক:
|
নায়িকা পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন ইতোমধ্যে এটা সবাই জেনে গেছে। শুধু তাই নয় তাকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি এবং আইসও সেবন করতেন তিনি। মাদক মামলায় গত ৪ অক্টোবর পরীমনির বিরুদ্বে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এতে বলা হয়, পরীর বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ৩০ লাখ ঋণের টাকায় কেনা গাড়িটি ব্যবহার করতেন মাদক বহনের কাজে। গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ ও বিভিন্ন মাদকসহ পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় মামলা করে। পরীমনির বাসা থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস উদ্ধার হয় বলে র্যাব মামলায় উল্লেখ করে। এ ঘটনার চার সপ্তাহ পর জামিন পান পরীমনি। পরীমনির বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন পরীমনি। মাদক বহনের কাজে ঋণের টাকায় কেনা গাড়িটি ব্যবহার করতেন তিনি। চার্জশিটে আরো বলা হয়, পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার অনেক আগেই এই মদপানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। আর বাসায় থাকা মাদকের সন্তোষজনক জবাবও দিতে পারেননি পরীমনি। সে সময় র্যাব কর্মকর্তারা জানায়, তার ফ্ল্যাট বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সে নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত এ্যালকোহল সেবন করে এবং সেবনের চাহিদা মেটানোর জন্য বাসায় একটি মিনি বার স্থাপন করেছেন। মিনি বার থাকায় তার ফ্ল্যাটে ঘরোয়া পার্টি অয়োজন পরিপূর্ণতা পেতো। যে মদের লাইসেন্সের কপি পাওয়া গেছে তা আইনসিদ্ধ নয় এবং কপিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। তার বাসায় যে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়, সেটা তার লাইসেন্সে কাভার করে না। এ বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, গত সপ্তাহে পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো আমার জানা নেই। প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় আটক করে র্যাব। আটকের পর পরীমনিকে তিনবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেফতারের ২৭ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |