নামাজের সময় মসজিদে সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১০
নিউজ ডেস্ক:
|
যশোরের চৌগাছায় একটি মসজিদকে ঘিরে গ্রামের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের নামাজের সময় উপজেলার ধুলিয়ানী গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধুলিয়ানী বাজারে দীর্ঘ দিনের একটি মসজিদ আছে। মসজিদে ইমামতি করেন মাওঃ মমিনুর রহমান। সম্প্রতি এলাকার কতিপয় ব্যক্তি ইমামের বিরুদ্ধে একটি কাল্পনিক অভিযোগ এনে তাকে ইমামতি থেকে বাদ দেন। পরবর্তীতে অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় মসজিদের মুসল্লিরা রাগে ক্ষোভে ওই মসজিদে নামাজ আদায় করা বাদ দিয়ে দেন। একপর্যায় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শফিয়ার রহমান নতুন মসজিদ নির্মাণে বাজারের পাশেই ২ শতক জমি দান করেন এবং সেখানে নতুন মসজিদ নির্মাণ করে পূর্বের ইমামকে নিয়োগ দিয়ে সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয় প্রতিপক্ষ সামছুল হকসহ তার অনুসারীরা। রবিবার মাগরিবের আযানের পর নতুন মসজিদে মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরানোর পরই সামছুলের নেরতৃত্বে তার অনুসারী বলে পরিচিত আবু সামা, মিলন হোসেন, আশা, ইলিয়াস হোসেন, হাসানসহ ১০/১২ জন লোহার রড, সাবল, হাতুড়ী নিয়ে নতুন মসজিদের মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এ সময় মুসল্লিদের ডাক চিৎকারে পাশের বাড়ি হতে মহিলারা ছুটে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে একপক্ষের সামছুল আলী (৫০), অপর পক্ষের মুক্তিযোদ্ধা শফিয়ার রহমান (৭১), জাহান আলী (৪০), জাহান আলীর স্ত্রী সোনাভান (৩৫), আতিয়ার রহমানের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪০), হবিবর রহমান (৫৫), আল আমিনের স্ত্রী নয়নতারা (৪২), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী রেখা বেগমসহ (৪০) অন্তত ১০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। একপক্ষের আহত সামছুল বিশ্বাস জানান, তারা পুরাতন মসজিদকে ধ্বংশ কারার চক্রান্ত করছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা হামলা করে তাকে আহত করেন। অপর পক্ষের আহত মুক্তিযোদ্ধা শফিয়ার রহমান বলেন, একজন নিরাপদ মানুষকে (ইমাম) বিনা কারণে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করেছে ওই পক্ষের লোকজন। গ্রামের মুসল্লিদের দাবিতে আমি ২ শতক জমি দিয়েছি মসজিদ করতে। এতে ক্ষুব্দ হয়ে সামছুল ও তার লোকজন নামাজ আদায় করার সময় হামলা করে বাড়ির মেয়ে ছেলেসহ আমাদেরকে আহত করেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে তিনি বিচারের দাবি করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ রায়হান বলেন, অধিকাংশ ব্যক্তিদের আঘাত বেশ গুরুতর। এখন প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে, এরপর আহতদের অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |