শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দেশীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১/১১ ঘটেছিলঃ রিজভী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩৪ রাত | অনলাইন সংস্করণ
দেশীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১/১১ ঘটেছিলঃ  রিজভী

ছবি । সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘১/১১ এটা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল। এখন আমরা জোরে সোরে বলছি না কিন্তু একদিন সময় আসবে, এ ঘটনার পেছনের সব চক্রান্ত ফাঁস হবে।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে এক সেনাপ্রধান বলেছেন স্বাধীনতার পরে এরকম স্বচ্ছ নির্বাচন আর দেখিনি। সারা পৃথিবী থেকে ধিক্কার জানাচ্ছে কিন্তু তিনি সরকারের পক্ষে এ ধরনের কথা বলেছেন। এটা সামগ্রিক একটা মাস্টারপ্ল্যান। সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। আর এটা শুরু হয়েছে ১/১১ এর সময় থেকে।’

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী ব‌লেন, ‘আজকের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি আসলেই মুক্ত? বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি এখনো বন্দী। পার্শ্ববর্তী দেশের বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তির দুই একটা বই যদি আমরা দেখি। তাহলে দেখতে পাব কীভাবে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে একটি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এবং জাতীয়তাবাদীর ধারাবাহিক যে নেতৃত্ব তারা যাতে জনগণের কাছে পৌঁছাতে না পারে এর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি দেশে এক এগারোর মতো ঘটনা ঘটে গেছে।’

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান কি কখনও কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে পারে? এটা এক এগারো থেকে শুরু হয়েছে। জেনারেল মইনুদ্দিন আহমেদ তখনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। কিন্তু তিনি বলে দিলেন ‘বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে’। আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একটি আর্টিকেল লিখলেন ‘পাঁচ বছরে বাজেট হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা’। কিন্তু আমরা কি দেখলাম দেখলাম সেনাবাহিনীর প্রধান দিনে দুপুরে এরকম একটা টাটকা মিথ্যা কথা বলে দিলেন। মাহমুদুর রহমান উত্তর দিলেন যেখানে পাঁচ বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয় কীভাবে?

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ঘেঁষা এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যে টাকা আসছিল সেগুলো বিএনপির আমলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে লাগাচ্ছিল। কিন্তু সেটাকে বাধা দেওয়া হলো ওয়ান ইলেভেন করে। যারা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করে তাদেরকে বিলীন করে দাও। এটা হচ্ছে তারা এই দেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায় একটি চক্রান্তের মধ্য দিয়ে।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা আরও বলেন, ‘সরকার ঘেঁষা কিছু সেনাপ্রধান এবং এই সরকারের প্রভুরা মিলে যে চক্রান্ত করেছে সেটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এইজন্যে আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের সংগ্রাম, আমাদের আন্দালন, রাজপথের উপস্থিতি এবং জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সামগ্রিক শক্তির মধ্য দিয়েই টেক ব্যাক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে এবং সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ। 

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ