তিস্তায় পানিবন্দি রয়েছেন ১০ হাজার মানুষ
নিউজ ডেস্ক:
|
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি কমতে শুরু করলেও এখনও চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। যদিও সকালে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল তিস্তার পানি। তিস্তার ঢলের পানিতে তিন উপজেলার প্রায় অর্ধশত ছোট বড় চরের নিচু এলাকা ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়। রাজারহাটের চর হতিয়াশামে প্রবল স্রোতে ১৫টি পরিবারের ঘর ভেসে গেছে। চরের আগাম আলু, মরিচ ও ধান ক্ষেত নিমজ্জিত হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। অনেকেই কাঁচাপাকা ধান কাটছেন। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিক হিসেবে ৫০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এদিকে, জারহাটের সরিষাবাড়িতে পানির তোড়ে একটি কাঠের সেতু ভেসে গেছে। সেই সঙ্গে গতিয়াশাম, খিতাবখা, ঠুটাপাইকর, থেতরাই ও বজরা এই পাঁচটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। ভাটিতে ব্রহ্মপুত্রের পানি কম থাকায় পানি দ্রুত নামছে আর এতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে, বন্যার্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও চাল বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে, এখন ত্রাণ সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |