বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে ‘যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে রোববার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

কিসিঞ্জার বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে বা কোন দিকে যাবে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছাড়াই অংশবিশেষ আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি।’

প্রথাগত কূটনীতি থেকে ওয়াশিংটনের দূরে সরে আসা এবং ‘যোগ্য’ নেতার অভাবে যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে উল্লেখ করে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি এখন বলতে পারবেন না যে আমরা তাদের (রাশিয়া-চীন) আলাদা করতে পারব। আপনি যা করতে পারেন তা হলো, উত্তেজনা না বাড়িয়ে বিকল্প পথ খোঁজা।'

এর আগে, তিনি কিছু ভূমি পরিত্যাগ করে কিয়েভকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ৯৯ বছর বয়সী হেনরি কিসিঞ্জার সম্প্রীতি একটি বই লিখেছেন যাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের জীবনী উঠে এসেছে। 

এই বইয়ে তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে যে সেনা অভিযান শুরু করেছে তা তার নিজের নিরাপত্তার উদ্বেগ থেকেই করেছেন কারণ ইউক্রেন যদি ন্যাটো জোটে যোগ দেয় তাহলে এই সামরিক জোটের অস্ত্র মোতায়ন হবে মস্কো থেকে মাত্র ৩০০ মাইল দূরে। এখন পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে পুরো ইউক্রেনের কর্তৃত্ব রাশিয়ার অধীনে চলে যেতে পারে।

তিনি সুস্পষ্ট করে বলেছেন, ব্যর্থ কৌশলগত আলোচনার কারণে আজকের সমস্যা তৈরি হয়েছে। হেনরি আরো বলেছেন, পশ্চিমাদের উচিত ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দাবিগুলো বিবেচনায় নেয়া

নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা