শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল করলো ঢাবি শিক্ষক
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:০৬ রাত | অনলাইন সংস্করণ
গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল করলো ঢাবি শিক্ষক

ছবি । সংগৃহীত

পিএইচডি গবেষণাতে অভিসন্দর্ভের (থিসিস) ৯৮ শতাংশই হুবহু নকলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসী অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপককে পদাবনতি (সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে) ও ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে ‘টিউবার কিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দিয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তার এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, আর সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। সহতত্ত্বাবধায়কেরা একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো কপি জমা দেননি বলে অভিযোগ ছিল লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে।

গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকলের বিষয়টি নজরে আসার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একজন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভে নিজের একটি গবেষণা থেকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে একটি চিঠি দিয়েছেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাস নিলসন।

এ বিষয়ে পত্রিকায় বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হলে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ‘চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানিয়ে সিন্ডিকেট সভায় প্রতিবেদন দেয়। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর শাস্তি দিতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে কমিটিতেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পরে বিষয়টি ট্রাইবুনালে গেলে সে রিপোর্ট অনুযায়ী পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল এবং পদাবনতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

নিউজ ডেস্ক । দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ